ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের দুইজনের সম্পর্ক অনেক দিনের পুরনো। শোভন যখন কারাগারে ছিলেন তখন তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সেবা না নিয়ে আস্থা রেখেছেন তার আলোচিত বান্ধবী বৈশাখীর কাছে। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নানা গুঞ্জন উঠে। এবার সেই গুঞ্জনই সত্যি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
এ নিয়ে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিজের স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, মনোজিৎ মণ্ডল অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বৈশাখীর দাবি, মনোজিৎ যে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সে কথা তিনি নিজেই তাকে জানিয়েছেন। তারা একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন বলেও মনোজিৎ তাকে জানিয়েছেন বলে দাবি বৈশাখীর।
নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তার স্বামী। এর পরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখী। তবে কি তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন? জবাবে বৈশাখী বলেন, ‘‘বিয়ে হবে কি না তা সময়ই বলবে। শোভনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্বপ্নের মতো। একটা সুন্দর স্বপ্ন যেমন হয়, আমার প্রতিটা দিন তেমন কাটে।’ ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে থেকেছেন বৈশাখী ও মনোজিৎ। মনোজিৎ পেশায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তৃণমূলের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, কলেজে অধ্যাপনা করলেও আপাতত সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বৈশাখী। একটি টিভি চ্যানেলকে মনোজিৎ জানিয়েছেন, গত ৩ বছর ধরে তিনি আর বৈশাখী একসঙ্গে থাকেন না। তারা স্বেচ্ছায় আলাদা হচ্ছেন এমন লিখিত বয়ানও আছে— দাবি মনোজিতের। তাঁর বক্তব্য, তিনি একা থাকবেন নাকি অন্য কারও সঙ্গে থাকবেন, তা একান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে বৈশাখীর দাবি, কোনও সম্পর্কেই জোর করে আটকে রাখায় তিনি বিশ্বাস করেন না।
শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর সময় তিনি মনোজিৎকে সবটা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশাখীর দাবি, বর্তমানে একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনোজিৎ। তাদের দ্রুত বিয়ে করে ফেলা বা একসঙ্গে থাকা উচিত বলেও মনে করেন বৈশাখী। কারণ অন্যরা তাকে এসে বলছেন, ‘তোমার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে ঘুরছেন।’ আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বৈশাখী মনে করেন শারীরিকভাবে অসুস্থ মনোজিৎকে এর থেকে মুক্তি দেওয়া দরকার। এই প্রসঙ্গে মনোজিতের জবাব, “এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
বৈশাখীকে খাতায়কলমে স্ত্রী বলেও দাবি করেছেন মনোজিৎ। এ ব্যাপারে বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, মনের দিক থেকে যখন আলাদা হয়েছি, তখনই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আমার জীবনে বৈশাখী আছেন কোথায়?
আমি কার সঙ্গে থাকব সেটা তো বৈশাখী ঠিক করে দিতে পারেন না। বৈশাখী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি মনোজিতের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান। সেই অনুযায়ী আইনজীবীর সঙ্গে কথাও হয়েছে। তার সন্তানের পিতা হিসেবে মনোজিৎ স্বীকৃতি পাবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।